‘জীবনকে সার্থক মনে করি’

স্যার ফজলে হাসান আবেদের জীবনদর্শন, প্রাপ্তি ও আড়ং, ব্র্যাক কীভাবে গড়েছেন– কাছ থেকে দেখে লিখেছেন রাফে সাদনান আদেল

২০ ডিসেম্বর ২০১৯, রাত ৮টা বেজে ২৮ মিনিট। আবেদ ভাই চলে গেলেন। আমাদের সবার– স্যার ফজলে হাসান আবেদ ভাই। তিনি এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অলাভজনক উন্নয়ন সংগঠন ‘ব্র্যাক’র প্রতিষ্ঠাতা; বিশ্বজুড়ে লাখেরও বেশি কর্মী তার; যারা দুনিয়াতে ১২ কোটিরও বেশি সুবিধাভোগী মানুষের ভালোর জন্য জীবন বিলিয়ে দিচ্ছেন ব্র্যাকের মাধ্যমে। তাদের সবাইকে দুঃখ দিয়ে, কাঁদিয়ে, নিজের স্মৃতি জাগিয়ে রেখে চিরবিশ্রামে চলে গেলেন কর্মবীর মানুষটি। রেখে গিয়েছেন সম্বল তার প্রিয় সংগঠন– ‘ব্র্যাক’, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনন্য এক জীবনদর্শন।

আবেদ ভাই এমন একজন মানুষ যিনি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দেশ ও বিদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছেন। তাদের ভালোর কথা চিন্তা করে গিয়েছেন। জীবনের শেষদিন, শেষক্ষণও হাসপাতালে শুয়ে খোঁজ নিয়েছেন ব্র্যাকের বিদ্যালয়গুলোর ভালো এবং মন্দ। অনেক বছর আগে থেকে তাদের কথা জানি। বাংলাদেশের যেকোনো চায়ের দোকানেও চা পান করার সময় শুনেছি সবাই ব্র্যাক স্কুলের কথা। একেবারে গ্রাম যেখানে কেউ পৌঁছাতে চান না, সেখানেও জেনেছি, ব্র্যাকের মাধ্যমে গ্রামের কোনো কিশোরীর ঈর্ষণীয় উপায়ে নিজেকে গড়ার গল্প। সবার পেছনে থাকা মেয়েটির ধীরে, ধীরে সবাইকে পেছনে ফেলে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাহিনী। তৃণমূলের এই মানুষগুলোর আত্মতৃপ্ত প্রশংসাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

চাইলে আরও অনেকের মতো অর্থ, বিত্ত, বৈভবের মালিক হতে পারতেন, কিন্তু তা করেননি কোনোদিনও ফজলে হাসান আবেদ। তার জীবনের লক্ষ্য ছিল একটিই– দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। নিজের সম্পদ বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় না ছুটে অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই করেছিলেন তিনি জীবনের ব্রত। একজন মানুষ কতটা দেশপ্রেম বুকে বয়ে বেড়ালে এমন এক অসাধারণ জীবন কাটিয়ে নির্দ্বিধায় বলতে পারেন– ‘দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে আমি আমার এই জীবনকে সার্থক মনে করি।’

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অনেকেই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন। তরুণ ফজলে হাসান আবেদ ছিলেন অন্যতম। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মধ্যেই শেল তেল কোম্পানির উচ্চপদের চাকরি ছেড়ে লন্ডনে চলে গেলেন। মে মাসে লন্ডনে গিয়ে সমমনা বন্ধুদের নিয়ে শুরু করলেন বিদেশের বুকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার অনন্য এক সংগ্রাম।

মুক্তিযুদ্ধকে সাহায্য করতে গড়ে তুললেন ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও‌ ‘হেল্প বাংলাদেশ’ নামের সংগঠন। এ দুটি সংগঠনের ব্যানারে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে পুরোটা সময় কাজ করে গিয়েছেন ফজলে হাসান আবেদ। ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’র কাজ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সারা বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক সমর্থন আদায় করে স্বাধীনতার জন্য বিশ্ব জনমত তৈরি এবং পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর গণহত্যা বন্ধে ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকারদের সক্রিয় করে তোলা। ‘হেল্প বাংলাদেশ’র কাজ ছিল– বিদেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে টাকা তুলে সেই টাকা দেশে পাঠিয়ে মুক্তিবাহিনীকে সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক পত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশনে মুক্তিযুদ্ধের জন্য জনমত তৈরিসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করা।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশে ফিরে এলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তার পরের মাসেই ব্র্যাকের জন্ম। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সিলেটের শাল্লায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাস করা সব হারানো মানুষদের, সেই গ্রামের লোকদের দেখতে গেলেন তিনি। এ তো তারও জেলা। সেখানে গিয়ে অবস্থা এতটাই খারাপ দেখলেন যে, আর কোনো চিন্তা না করেই সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিলেন, শাল্লায় তিনি কাজ করবেন। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে দরিদ্র, অসহায়, সব হারানো মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য শুরু করলেন ব্র্যাক। ১৯৭৩ সালে ত্রাণ সাহায্য দেওয়ার গণ্ডি পেরিয়ে ব্র্যাক উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে কাজ শুরু করল। আজকের ব্র্যাকের জন্ম ও যাত্রা শুরু হলো।

এখন আমরা দেশের সীমানা পেরিয়ে এশিয়া ও আফ্রিকার ১১টি দেশে উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনা করছি। কাজের ব্যাপ্তি এতই বড় ও বিশাল আর পরিচিত এত বেশি যে, পৃথিবীর কোনো প্রান্তেই আলাদা পরিচয়ের দরকার হয় না আমাদের, বললেই হলো– আমরা ‘ব্র্যাক’। বিখ্যাত কবি বেগম সুফিয়া কামাল, জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, কাজী ফজলুর রহমান, আকবর কবীর, ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী, এসআর হোসেন ও ফজলে হাসান আবেদ– এই সাতজনকে নিয়ে ১৯৭২ সালে ব্র্যাকের গভর্নিং বোর্ড তৈরি হলো। তারপর থেকে তুমুল কর্মযজ্ঞে এগিয়ে চলা।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ সবসময় মনে করতেন, ‘নারী ও পুরুষের সমতা ছাড়া এগোনো সম্ভব নয়। সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য সাধারণ মানুষকে লিঙ্গ সমতা, নারী ও শিশুদের অধিকার_ এসব বিষয়ে সচেতন করে তুলতে কাজ করেছেন তাই সবসময়। তাদের সামর্থ্য ও দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন তারা।

বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীসমাজ, পরিবার কাঠামোতে তাদের অবস্থান ও তাদের ক্ষমতায়ন বিষয়ে স্যার আবেদের স্ত্রী আয়েশা আবেদও গভীরভাবে আগ্রহী ছিলেন। এই কর্মবীর নারী ছিলেন দরিদ্র ও পিছিয়ে থাকা এবং রাখা মানুষের মুক্তির সংগ্রামে ব্র্যাকের সক্রিয় একজন কর্মী। প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীদের যুক্ত করে কীভাবে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা যায়, সেই ভাবনা ছিল তারও আজীবন। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত শাল্লা, মানিকগঞ্জ ও জামালপুর প্রকল্পের কর্মসূচিগুলোতে ব্র্যাকের মাধ্যমে এই দেশের গরিব জনগোষ্ঠী বিশেষত গ্রামের নারীদের জীবন ও সংগ্রামের সঙ্গে তার নিবিড় পরিচয় ঘটেছে। জামালপুরে প্রকল্পটি ছিল পুরোপুরি নারীদের নিয়ে। সেখানে নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আয়েশা আবেদ জামালপুর অঞ্চলের নারীদের আয় বাড়ানোর কাজে যুক্ত করলেন। তখন তিনি দেখলেন, ব্র্যাকের এই নারী কর্মীদের উৎপাদিত ও তৈরি পণ্যগুলো বিক্রির আলাদা কোনো ক্ষেত্র নেই, ভালো দামে কেউ কিনতেও চান না। অথচ এগুলো বাজারে চমকে দেবে সবাইকে, এতই নতুন আর বিক্রি করে তারা সচ্ছল হতে পারবেন সবাই। ফলে আয়েশা আবেদের মাধ্যমে জন্ম নিল ‘আড়ং’।

১৯৮০ সালে আড়ংয়ের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ব্র্যাক পেল। তখন থেকে তিনি আড়ংয়ের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এই বিরাট ও বিপুল প্রতিষ্ঠানের বিকাশ এবং প্রসারের সন্ধিক্ষণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন স্বাভাবিকভাবে আরও কর্মমুখর এবং প্রাণচঞ্চল। তখন ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে হয়েছিল ব্র্যাকের সাড়া জাগানো ‘জামদানি প্রদর্শনী’। এই আয়োজন সফল করতে অসম্ভব পরিশ্রম করেছিলেন ফজলে হাসান আবেদ ভাইয়ের স্ত্রী।

ঢাকার মতো নাগরিক শহরের মানুষ ‘আড়ং’কে শুধু পোশাকশিল্পে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে চিনলেও আড়ংয়ের প্রতিটি পোশাকের প্রতিটি সুতোর গাঁথুনিতে আছে গ্রামের নারীদের জীবনের সুখ, দুঃখ, আশা ও হতাশার গল্প। আড়ং তাদের স্বাবলম্বী জীবনের প্রতীক। প্রতিটি পোশাকের নকশায় আছে একেবারেই গরিব পরিবারগুলোর সচ্ছলতার হাতছানি। শূন্য হাতের পথে বসা, গালমন্দ খেয়ে জীবন কাটানো গ্রামের এই নারীরা জামা বুনে পাওয়া টাকা জমিয়ে হয়েছেন কৃষিজমি, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলের খামারের মালিক। ব্র্যাক স্কুলে তাদের সন্তানরা পান লেখাপড়ার আলো, কারিগরি শিক্ষায়ও তারা শিক্ষিত হন ব্র্যাকের স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে। মা আয়েশা আবেদের পথে এই আড়ংকে আরও অনেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মেয়ে তামারা আবেদ।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ শুধু ব্র্যাক তৈরি করেননি, আড়ং গড়ে দেননি পেছন থেকে; ব্র্যাককে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বানিয়েছেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে। তিনি ব্র্যাকের মাধ্যমে তার ভাবনাগুলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। তারা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে অসাধারণ কাজ করেছেন, গড়ে তুলেছেন ব্র্যাক ব্যাংক, বিকাশ ও আড়ংয়ের মতো সামাজিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। ব্র্যাকের প্রাণপুরুষ তার সব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের হাতে। বাংলাদেশে এই নজির আর কারও নেই। কেউ ভাবতেও পারেন না। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্য যে দেশগুলোতে কাজ করছি, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সব জায়গাতেই নতুন সমাধান ও উদ্ভাবন করতে হবে। এ কাজে তরুণ প্রজন্মের অমিত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে।’ ২০০১ সালে ৬৫ বছর হওয়ার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ব্র্যাকের নেতৃত্ব অন্যদের কাছে হস্তান্তর করবেন, সে কাজই করতে হবে। নিজেকে দেওয়া কথা রেখেছেন তিনি। তরুণ নেতৃত্ব সামনে এনেছেন। তাদের শিখিয়েছেন অনেক বছর ধরে। আগামীতেও যেন ব্র্যাক মানুষের সেবা করতে পারে সে কারণেই তিনি পদক্ষেপগুলো নিয়েছেন।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের এগিয়ে চলার জন্য শুভ স্বপ্ন দেখতেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সে কথাগুলো বলেছেন। বিশ্বজুড়ে অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্র্যাক যেন নিজের অভিজ্ঞতার সবটুকু ঢেলে দিতে পারে, মানসিক ও কাজের মাধ্যমে সেজন্য তিনি সবসময় কর্মীদের ইতিবাচক ভূমিকায় থাকতে নির্দেশ দিতেন। সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আগামী ১০ বছরে আমরা আমাদের কাজের প্রভাব পৃথিবীর আরও বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৫০ মিলিয়ন মানুষের কাছে ব্র্যাক যেন পৌঁছে যায়, সেটিই আমার প্রত্যাশা। স্বপ্ন দেখি, ব্র্যাক ভবিষ্যতে আরও বড় হবে, নতুন উদ্ভাবন চালিয়ে যাবে ও নতুন দিনের প্রয়োজনে নতুন সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসবে।’

আধুনিক মনমানসিকতা ও প্রযুক্তিবান্ধব হিসেবে সবখানেই অগ্রগণ্য ছিলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় করাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন সর্বক্ষণ। ২০১৮ সালের মার্চে ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‌‘ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রযুক্তিভিত্তিক আর্থিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ আগামী এক দশকে এ ঋণ কার্যক্রম পুরোপুরি বদলে যাবে। ঋণের পরিমাণ ও পদ্ধতির বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দেবে প্রযুক্তি। এতে সবার সময় ও শ্রম বাঁচবে।’ জীবনের লক্ষ্য অর্জনে অটল থাকতে পারলে ও কঠোর পরিশ্রম করলে সফলতা আসে– সেই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্যার ফজলে হাসান। ২০১৫ সালে দারিদ্র্য কমানোতে অবদান রাখায় ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ’ পেয়েছেন। তখন তিনি পরিষ্কার বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আমরা যা করেছি, তা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থেকেই করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করে আনা। কারণ অনুভব করি, দারিদ্র্য অমানবিক রূপ নেয়। অতিদরিদ্রতা থেকে মানুষকে বের করা সম্ভব। এজন্য বিশ্বের প্রতিটি দেশের অঙ্গীকার লাগবে।’

একবার তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ২০৩০ সালে কেমন বাংলাদেশ কল্পনা করেন? জবাবে বলেছিলেন, ‘আগামী এক দশকে বাংলাদেশে দরিদ্র কমে যাবে। তবে আমরা খুব বেশি ধনী হবো না। বাংলাদেশের গড় আয় বেড়ে যাবে।’ মাতৃভূমিকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে ১৯৭২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লড়াই করে গিয়েছেন মহান মনের অধিকারী মানুষটি। বাংলাদেশের উন্নয়নে আমাদের উদ্ভাবন ও অর্জিত অভিজ্ঞতা অন্য দেশের মানুষের জীবন উন্নয়নে কীভাবে কাজে লাগতে পারে, সেজন্য কাজ করেছেন শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত।

মূল লেখা: এই লেখাটি দৈনিক দেশ রুপান্তরে প্রকাশিত হয়েছে ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯